ডেস্ক রিপোর্ট ;;
ইতালির মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় ভোররাত ৩টা ৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টা) শক্তিশালী এ ভূমিকম্পটি হয়।
ইতালির রাজধানী রোমের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে উমব্রিয়া প্রদেশের পেরুজিয়া শহরের নোরসিকা টাউনে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি অনুভূত হওয়ার ঘণ্টা পর একই এলাকায় কয়েকটি আফটার শক হয়। যার মধ্যে তীব্রতর শকটি ছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার।
ইতালির ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লুকা কারির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাকুমোলি, আমাত্রিসি, পোস্তা এবং আরকুয়াটা দেল টরোনটো এলাকা। এসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আমাত্রিসি টাউনের মেয়র সের্গিও পিরোজ্জি রাষ্ট্রীয় আরএআই টেলিভিশনকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে বলেন, টাউনের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শনও ধ্বংস হয়ে গেছে। ভূমিকম্পে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং সম্ভব একটি সেতু ধসে পড়েছে।
অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ ধসে পড়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান মেয়র পিরোজ্জি।
ইতালির সংবাদপত্র লা রিপাবলিকা’র বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পটির তীব্রতায় রাজধানী রোমের কিছু ভবন ২০ সেকেন্ড ধরে কেঁপেছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে একই অ্যাকুমোলি শহরে পরিবারের চার সদস্য একটি দেয়ালের নিচে চাপা পড়েছিল বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র স্টেফানো পেত্রোসি। অন্যদিকে পেসকারা দেল টরেন্টো গ্রামের কাছে দুজন মারা গেছেন।
পাঠকের মতামত